ব্লগার-ফ্রিল্যান্সার

ফ্রিল্যান্স হলো পরিশ্রম করে স্বাধীনভাবে টাকা আয় করার একটা কঠিন মাধ্যম

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: আপনি কবিতা লিখেন। কবি হিসেবে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করুন?
মানচুমাহারা: মাঝে মাঝে কিছু লেখালেখির চেষ্টা করি তবে এগুলো অন্তরের অস্থিরতার বহিঃপ্রকাশ মাত্র।

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: আপনি এখন কী ধরণের কাজ করছেন?
মানচুমাহারা: CODEBOXR নামে আমার একটা ছোট্ট স্টার্টআপ আছে। বর্তমানে এটাকে কেন্দ্র করেই কাজ করছি। আমি মূলত ওয়েব ডিজাইন, ডেভেলপ, জুমলা সিএমএস-এর জন্য এক্সটেনশন ডেভেলপ, ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য প্লাগিন ডেভেলপ, ওয়েব বেসড এপ্লিকেশন ডেভেলপ এই ধরনের কাজই বেশি করি।

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের মূল সমস্যা কী বলে আপনার মনে হয়?
মানচুমাহারা: না শিখে কাজ করার প্রবনতা বেশি। টাকার পেছনে ছুটার আগ্রহ বেশি। আমি মাঝে মাঝে এমন মেইলও পাই যে… ‘ভাইয়া একটা প্রজেক্টে বিড করে জিতেছি কিন্তু প্রজেক্টটা বুঝতেছি না’!

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: আপনার দৃষ্টিতে সেরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট কোনটি? কেন?
মানচুমাহারা: আমি কখনো কোন ফ্রিল্যান্স সাইটে যাই নাই। আমার ফ্রিল্যান্স বা কাজের ধারাকে আমি অল্টারনেটিভ ফ্রিল্যান্স মনে করি।

সবুজ কুমার কুন্ডু (মানচুমাহারা)

সবুজ কুমার কুন্ডু (মানচুমাহারা)

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: কী ধরণের কাজে ফ্রিল্যান্সিং-এ দ্রুত সফলতা পাওয়া যায় বলে আপনি মনে করেন?
মানচুমাহারা: রাস্তায় যে বাদাম বিক্রি করে সেও ফ্রিল্যান্সার, নয়কি ? আমি মনে করি কাজের ধরনের থেকে কাজ করার জন্য নিজের যোগ্যতাই সফলতার মূল চাবিকাঠি।

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: একজন কবি, একজন ফ্রিল্যান্সার নাকি একজন ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন? নাকি অন্যকিছু?
মানচুমাহারা: নিজেকে উদ্যোক্তা হিসাবেই পরিচয় দিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করি। ছোটবেলায় স্বপ্ন ছিল আঁকিয়ে হব, কিন্তু পরেতো ইঞ্জিনিয়ার হয়ে গেলাম।

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: একজন ফ্রিল্যান্সারের কি কি গুন থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন?
মানচুমাহারা: এক কথায় বলা কঠিন। তবে কমন সেন্স, শেখার ইচ্ছা, প্রফেশনাল আচরণ শেখা বা অভ্যাস করা ইত্যাদি।

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: কীভাবে নতুন একজন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন?
মানচুমাহারা: আমি একটা লেখা প্রস্তুত করছি, আমার manchumahara.com ব্লগে এটা নিয়ে লিখব। তবে আমি ‘অল্টারনেটিভ ফ্রিল্যান্স’ নিয়ে লিখবো।

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: আপনার নিক “মানচুমাহারা” এর পেছনের ইতিহাসটুকু জানতে চাই? ভিডিও দেখে ব্যাপারটি ক্লিয়ার হয়নি!
মানচুমাহারা: http://manchumahara.com/about/ এই পাতার শেষে একটা ভিডিও আছে, আসলে মানচুমাহারা নিকের শুরু এই ভিডিও থেকে। ভিডিওটা কেউ যদি না দেখে তাহলে বুঝানো কঠিন হবে। ভিডিও একজন মানুষ কবর থেকে উঠে এসে প্রার্থনায় বসে এবং শরীর থেকে হাড় মাংস খসে পড়লেও প্রার্থনা চালিয়ে যেতে থাকে এবং শেষে লেখা আসে ‘Legend Manchumahara’. আমার মানচুমাহারা নিকের শুরু এখান থেকে। আমি আমার কাজের মাধ্যমে প্রার্থনা করি। manchumahara মানে আমি মনে করি crazy, passionate, dedicated, vagabond, stupid !

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: আপনি একবার বলেছিলেন- জেনারেল লাইন থেকে যারা ওয়েব ডিজাইন বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট-এ আসে তারা এই সেক্টরে অনেক ভালো করছে। ব্যাপারটি একটু বুঝিয়ে বলবেন?
মানচুমাহারা: এটাই বলেছিলাম? তবে একজন অজ্ঞ লোক যেটাকে বলে মূর্তি, একজন শিক্ষিত লোক সেটাকে বলে ভাস্কর্য ! যেটাকে কেউ বলে ডিজাইন অন্য কেউ বলে UI (ইউজার ইন্টারফেস), GUI. ডিজাইন এর জন্য খুব বেশি একাডেমিক জ্ঞানের প্রয়োজন নাই, ছোট খাট থেকে বড় ওয়েব সাইটও অনেক কম প্রোগ্রামিং জ্ঞান থাকলেও করে ফেলা যায়, এই ধরনের টুল এখন আছে। তবে বর্তমানে অনেকেই কম্পিউটার সায়েন্স এর স্টুডেন্ট না হয়েও এই ধরনের পেশাতে আসছেন, নিজে থেকে শিখেন এবং ভালো করছেন। এটাই মনে হয় বলেছিলাম।

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: একজন ইমপ্লয়ারকে সেটিসফাইড করতে হলে কোন কোন দিকগুলোর প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে হয়?
মানচুমাহারা: কাজ সময় মতো শেষ করতে হবে, কমিউনিকেশন গ্যাপ থাকলে হবে না। ক্লায়েন্ট মেইল দিলে সেইটার উত্তর যথাসম্ভব দ্রুত দিতে হবে। ক্লায়েন্ট কি চাইছে সেইটা আগে বুঝার চেষ্টা করা এবং সেই অনুসারে কাজ করা। ক্লায়েন্টকে কোনোভাবেই রেগে মেইল-এর উত্তর না দেওয়া এবং সব সময় মাথা ঠাণ্ডা রাখা।

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: আপনি সাধারণত অনলাইনে প্রতিদিন কতক্ষণ সময় কাটান?
মানচুমাহারা: ১৪/১৫ ঘন্টার বা তার বেশি। তবে আমি সারাদিন টিভি দেখি আর গান শুনি, সেই সাথে কাজ এবং সোস্যাল নেটওয়ার্কে এক্টিভ থাকি। অনলাইনে প্রচুর পড়ি।

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ফ্রিল্যান্সিং-এর ভবিষ্যত কী রকম বলে আপনি মনে করেন?
মানচুমাহারা: দেশে দিন দিন ফ্রিল্যান্সার এর সংখ্যা বাড়ছে। অনেকেই টাকার পেছনে ছুটতেই বেশি আগ্রহ দেখান। ফ্রিল্যান্সকে আমি টেম্পোরারি সমাধান চিন্তা করি। আমাদের টিম এ কাজ করা শিখতে হবে আর সেজন্য ৪/৫ জন্য ফ্রিল্যান্সার একসাথে কাজ করা ভালো। সবাইকেই ফ্রিল্যান্স পেশায় আসতে হবে এমন নয়। কোম্পানী বা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা শিখতে হবে। ফ্রিল্যান্সার থেকে উদ্যোক্তা হবার চেষ্টা করতে হবে।

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: ধরুন একজন লোক ফ্রিল্যান্সিং কিংবা আউটসোর্সিং ব্যাপারে কিছুই জানেনা। তার কাছে আপনি ব্যাপারগুলো কীভাবে তুলে ধরবেন?
মানচুমাহারা: আমি তাকে বলবো google.com-এ গিয়ে “define freelance”, “define outsourcing” লিখে সার্চ দিতে বা অনুসন্ধান করতে বলবো। আর বলবো, ফ্রিল্যান্স হলো পরিশ্রম করে স্বাধীনভাবে টাকা আয় করার একটা কঠিন মাধ্যম !

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং নিয়ে আপনার কোনো পরিকল্পনা আছে কি যা আপনি পাঠকদের কাছে তুলে ধরতে চান?
মানচুমাহারা: যারা মনে করে অনলাইনে টাকা উড়ছে, ছাত্রজীবনে লেখাপড়া বাদ দিয়ে টাকা আয় করার জন্য ঘুম নষ্ট করে ফেলছে তাদের সবাইকে একটা স্টেডিয়ামে ডেকে নিয়ে আমি কন্ঠ ছেড়ে বলতে চাই- “ফ্রিল্যান্স হলো পরিশ্রম করে স্বাধীনভাবে টাকা আয় করার একটা কঠিন মাধ্যম”।

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: একজন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজাইন সম্পর্কে তেমন কিছু জানেনা। তার জন্য আপনি কীভাবে গাইডলাইন তৈরি করবেন যদি সে এ ব্যাপারে শিখতে আগ্রহী হয়?
মানচুমাহারা: আমি তাকে প্রথমে তিন দিন ঘুরাবো এবং পরীক্ষা করবো তার আগ্রহ কতখানি, আমার ধারণা ৯০ ভাগ এতেই হারিয়ে যাবে। যাই হোক, ডেভেলপমেন্টটা কঠিন, ডিজাইন সহজ। তাই আগে ডিজাইন শেখার জন্য বলবো। তবে কাউকে পরামর্শ দেওয়ার আগে আমি তার শিক্ষাগত যোগ্যতা, কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের আগ্রহ এবং দক্ষতা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। ইংরেজি আর্টিকেল পড়ে বুঝতে পারলে শেখাটা সহজ। অনলাইনে গুগলে অনুসন্ধান করে প্রচুর টিউটওরিয়াল পাওয়া যায়। শুধু গোগ্রাসে পড়ে যেতে হবে এবং চর্চা করতে হবে। পরিশ্রম করার ইচ্ছাটা থাকতে হবে। নিজে থেকে শেখার আগ্রহ বাড়াতে হবে। কিছু ট্রেনিং সেন্টার আছে ওদের কাছ থেকে কিছু বেসিক শিখে নেওয়া যেতে পারে।

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: আচ্ছা এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে যাই- আপনি প্রথম কখন নিজের কম্পিউটার পান? সেই অভিজ্ঞতা পাঠকদের জন্য শেয়ার করুন?
মানচুমাহারা: ২০০৩ সালে ২২ ফেব্রুয়ারি আমি বুয়েটে কম্পিউয়ার বিজ্ঞানের ছাত্র হিসাবে ক্লাসে ল্যাবে প্রথম কমিউটার চালাতে পেরেছিলাম। প্রথম দিন জানতাম না কিভাবে অন করতে হয়। ক্লাস শুরুর ৪/৫ সপ্তাহ পরে বাবা ধার দেনা করে ৩১ হাজার টাকা দিয়ে একটা ডেক্সটপ কম্পিউটার কিনে দেন। সেই থেকে শুরু। এখন পিচ্চি পিচ্চি পোলাপাইনকে ল্যাপটপ ব্যবহার করতে দেখে আমার হিংসেই গা জ্বলে যায় 😛 (ha ha ha)

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: আজকের এই সফল সবুজ কুন্ডু বা মানচুমাহারা’র সফলতার পেছনের গল্পটুকু শুনতে চাই?
মানচুমাহারা: আমি শুধু মাত্র সামান্য কয়েকটা ধাপ অতিক্রম করেছি, সামনে অনেক পথ চলা বাকী। আমি সব সময় আমার লক্ষ্যে স্থির, নিজে যেটা পছন্দ করি সেটার পেছনে মরিয়া হয়ে লেগে থাকি। একটা সময় পারিবারিক অভাব অনাটন চরম পর্যায়ে ছিল, ক্লাস নাইনে থাকতে আমার মায়ের মাথায় সমস্যা দেখা যায় তখন বাড়ির পাশে মাঠে বসেও মাঝে মাঝে পড়ালেখা করতাম। আমার বাবা প্রচণ্ড সমস্যার ভেতরও ভেঙে পড়েন না, আমি তাই চেষ্টা করি। সৎ থাকার চেষ্টা করি। বুয়েটে পড়ার সময় আমার রেজাল্ট প্রচণ্ড খারাপ ছিলো, একেবারে শেষের দিকে থেকে প্রথম! শেষ দিকে প্রচণ্ড হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছিলাম, বলা যায় হতাশাকে জয় করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য ছিল তখন। কাজ শেখার চেষ্টা করতাম। একটা পর্যায়ে হতাশাকে জয় করে আমি চলা শুরু করি এবং এখনো কাজ করে যাচ্ছি। কাজের মাধ্যমেই নিজের শ্রেষ্ঠ প্রার্থনা ঈশ্বরের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করি।

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: আপনার প্রথম তৈরি করা ওয়েবসাইটটি সম্পর্কে জানতে চাই? এটি কি ব্যক্তিগত ছিলো, নাকি অন্য কারো জন্য?
মানচুমাহারা: প্রথম প্রফেশনাল সাইট reformplans.com. এই ডমেইনটা নাই এখন। এটা আমার চাকরি জীবনের শুরুতে প্রথম কাজ। আর প্রফেশনাল কাজের বাইরে নিজের ব্যক্তিগত সাইট http://manchumahara.com-ই আমার প্রথম কাজ।

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং কবিতা লেখা ছাড়া আপনি আর কী করতে ভালোবাসেন?
মানচুমাহারা: ভালোবাসতে ভালোবাসি !

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: প্রিয়জনদের সাথে কখন কীভাবে সময় কাটান? নাকি সময়-ই পান না?
মানচুমাহারা: এখনতো আমাদের জেলা শহর নড়াইলে বসেই কাজ করি। এখানেই একটা অফিস সেটাপ করার পাগলামীকে বাস্তবতা দেওয়ার পাগলামীতে ব্যস্ত। তবে যেহেতু বাড়িতে বসেই কাজ করি পরিবারের সাথে অনেক সময় কাটাই। খুব কাছের বন্ধু (হাতে গোনা কয়েকজন) দের সাথে সারারাতও আড্ডা দেই। ভেতরে ভেতরে আমি প্রচণ্ড দুষ্টু, চুপা রুস্তম !

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: আপনার এই কাজগুলোর পেছনে কার অবদান/উৎসাহ আপনাকে আরও ভালো এবং মনোমুগ্ধকর কাজ করতে আগ্রহী করে তোলে?
মানচুমাহারা: আমার বর্তমান কাজের পরিধিতে আমি ব্যক্তি হিসাবে হাসিন হায়দার (http://hasin.me/ – যার বাংলা নিয়ে কাজ দেখে আমি ওয়েবে বাংলা নিয়ে কাজ করতে এসে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখা শুরু করি) এবং অমি আজাদ (http://omi.net.bd/ – উনি আমার বড় ভাই এবং বন্ধু, বাংলা নিয়ে কাজ করার সূত্র ধরে পরিচয় হলেও পরবর্তীতে এক সাথে অনেক কাজ করেছি)। তবে কাজ করার ক্ষেত্রে আমি সব সময় একটা খিদা অনুভব করি, মজা করে আমি এইটাকে বলি প্রসব বেদনা !

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: এবার সিএমএস ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসা- ওয়ার্ডপ্রেস আপনি কবে থেকে ইউজ করা শুরু করেছেন?
মানচুমাহারা: ২০০৫ থেকে মনে হয়, তখন http://manchu.wordpress.com/-এ যা মাথায় আসতো লিখতাম।

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: আপনার দৃষ্টিতে ওয়ার্ডপ্রেসের প্রধান সুবিধাগুলো কি কি?
মানচুমাহারা: ক. অনেক বড় কমিউনিটি এটার সাথে জড়িত, খ. সহজে কাস্টমাইজ করা যায়, গ. থীমিং এবং প্লাগিন বা প্লাগেবল ফিচারটা বেশি টানে, ঘ. শুধু প্লাগিন দিয়েই প্রায় সবকিছু কন্ট্রোল করা যায় … হা হা হা।

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: আর অসুবিধাগুলো?
মানচুমাহারা: অনুবাদ করার প্রসেসটা ভালো লাগে না। আসলে বেশি টেকনিক্যাল আলোচনা এখানে করতে চাই না।

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: আপনার ডেভেলপ করা ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন এবং থিম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই?
মানচুমাহারা: আমি প্রায় ২০/২৫ টা থীম বানিয়েছি তবে সবগুলো কোনো নির্দিষ্ট সাইট-এর জন্য, জেনেরিক থীম আমি বানাইনি। নিজের জন্য নিজেই বানিয়ে নিই। প্লাগিন সম্পর্কে এখানে জানা যাবে সহজে http://manchumahara.com/downloads/?dl_cat=3

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: ওয়ার্ডপ্রেস-এর কাজের উপর কেউ যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চায় তাহলে তাকে ওয়ার্ডপ্রেসের সাথে আর কি কি শিখতে হবে?
মানচুমাহারা: ওয়ার্ডপ্রেস ভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে।

  • ওয়ার্ডপ্রেস সাইট মেইনটেন্যাস (web master)
  • SEO on wordpress
  • theme development
  • plugin development
  • blog or site design based on wordpress

ব্যাপার হচ্ছে যে যে ধরনের কাজ করতে চান তার উপর নির্ভর করে কাজ শিখতে হবে।

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: সেল্ফ হোস্টেড ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে কাজ করার জন্য কি ওয়ার্ডপ্রেস ডট কমে কাজ করা আবশ্যক? কেন?
মানচুমাহারা: wordpress.com-এ লেখালেখি করে সহজে শিখে ফেলা যায় একজন ইউজার হিসাবে বা ব্লগার হিসাবে কিন্তু ডেভেলপার হিসাবে শেখার জন্য লোকাল হোস্ট বা লোকাল সার্ভারে কাজ শুরু করা উচিৎ।

দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ: আপনাকে ধন্যবাদ।
মানচুমাহারা: আপনাকে ধন্যবাদ, বানান ভুল হলে ঠিক করে দিবেন আশা করি।

মানচুমাহারা বা সবুজ কুমার কুন্ডু– জন্ম ১০ জুলাই। জন্মস্থান নড়াইল। সর্বসাকুল্যে জব করেছেন ৬ মাসের মতো। পড়াশোনা করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে। বাবা স্কুল টিচার এবং মা গৃহিণী। মানচুমাহারা সম্পর্কে আরও জানতে ভিজিট করতে পারেন তাঁর ব্যক্তিগত মানচুমাহারা ডট কম ওয়েবসাইট।
সবুজ কুমার কুন্ডু একজন কবিও বটেন। তিনি তাঁর মনের ভাবনা, স্বপ্নের কল্পনার মিশেল ঘটান বাস্তবের বহি:প্রকাশ কবিতার মাধ্যমে। তাঁর কবিতা পড়তে ক্লিক করুন এখানে
প্রচলিত ফ্রিল্যান্সিং (ওডেস্ক ডট কম, ফ্রিল্যান্সার ডট কম) মাধ্যমে তিনি কখনো ফ্রিল্যান্সিং করেননি। কিন্তু তবুও তিনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার। কীভাবে তা তাঁর মুখেই শোনা গেলো। বর্তমানে তাঁর নিজ শহর নড়াইলে একটি ফ্রিল্যান্সিং ফার্ম গড়ার কাজে ব্যস্ত।
মানচুমাহারা একজন সফল ফ্রিল্যান্সার, ওয়েব ডেভেলপার, ওয়েব ডিজাইনার, উদ্যোক্তা। এতোকিছুর মধ্যেও তিনি নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচয় দিতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। কেন? কারণ আমরা জানিনা। তবে তিনি যে স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশ নিয়ে, ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে সেসবের বাস্তব রূপ দিতেই তাঁর উদ্যোগী প্রয়াস থেকেই যে তাঁর এরকম চিন্তা তা আন্দাজ করা যায়।

ফেসবুক-এ লগিন থাকা অবস্থায় মন্তব্য করুন-

টি মন্তব্য

11 Comments

Facebook

Get the Facebook Likebox Slider Pro for WordPress