ব্লগার-ফ্রিল্যান্সার

ফ্রিল্যান্সিং করার আগে আপনাকে আন্তর্জাতিক মানের যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রচুর সময় দিতে হবে

মোঃ ইকরামক্রিয়েটিভ আইটি লিঃ-এর প্রজেক্ট ম্যানেজার। এডমিন হিসেবে পরিচালনা করছেন জেনেসিস ব্লগস (genesisblogs.com)- অনলাইন আয়, ফ্রিল্যান্সিংসহ নানান বিষয়ে নিয়মিত লেখা প্রকাশ হচ্ছে এখানে।
পড়াশোনা করেছেন অর্থনীতি বিষয় নিয়ে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কিন্তু পেশা-নেশা সবকিছু এখন টেকনোলজিকে কেন্দ্র করেই। ভালো লাগে নতুন কাউকে সহযোগিতা করতে। তাইতো ক্রিয়েটিভ আইটির ব্যানারে হাজারো তরুন-তরুণীকে স্বপ্নবাজ করে তুলেছেন, স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করেছেন, করছেন এবং করবেন বলেও দৃঢ়প্রত্যয়ী। জড়িত আছেন সরকারী প্রজেক্ট ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজে। দেশব্যাপী বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন নিজের পরোপকারী মনটির জন্যই।
অবসর সময় খুব একটা না পেলেও কাজের ভেতর থেকে যতটুকু উদ্ধার করতে পারেন, পরিবারের সান্নিধ্যে কাটানোর চেষ্টা করেন। কাজ নিয়ে প্রতিনিয়ত ব্যস্ততা থাকায় আড্ডা খুব একটা দেয়া হয় না। বিনোদন বলতে পছন্দের গান শোনাটাকেই প্রাধান্য দেন বেশি। এমনকি কাজের মুহূর্তটুকুতেও গান না শুনলে কাজে মন বসানো দ্বায় হয়ে পড়ে। সবসময় হাসিখুশি আর প্রাণবন্ত থাকেন এই পরোপকারী মানুষটি। কথা হলো তাঁর সাথে ফ্রিল্যান্সিং-এর নানান দিক নিয়ে। আশা করি আগ্রহী পাঠকদের কাজে লাগবে। মোঃ ইকরাম সম্পর্কে আরও জানতে এবং ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে উনার ফেসবুক আইডিতে যোগাযোগ করতে পারেন এখানে: ফেসবুক-এ মোঃ ইকরাম

ফ্রিল্যান্সিং-আউটসোর্সিং বলতে আসলে আমরা কী বুঝি?
বাংলাদেশের ঘরে বসেই অন্যদেশের কোন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে আয় করতে পারছি। সেটার জন্য আমাকে বিদেশ যেতে হচ্ছেনা, এমনকি ঘর থেকেই বের হতে হচ্ছেনা, এটাই হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মজা। তবে একটা বিষয় জানাতে চাই, ফ্রিল্যান্সিংয়ে আউটসোর্সিং কাজের একটা জোয়ার চলার কারনে যোগ্যতা ছাড়াই সবাই এ কাজগুলো করার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। এ কাজগুলো করার আগে আপনাকে আন্তজার্তিক মানের যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রচুর সময় দিতে হবে।

আপনার দৃষ্টিতে সেরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট কোনটি? কেন?
অবশ্যই ইল্যান্স-ওডেস্ক। এখানে কাজের পরিমাণ প্রচুর। কাজ করার জন্য অনেকগুলো যোগ্যতা প্রকাশের ধাপের মধ্য দিয়ে যেতে হয় দেখে বেশিরভাগ সময় যোগ্য ব্যক্তিরাই শুধু কাজ করতে পারে এখানে।

ফ্রিল্যান্সিং-এর পুরো প্রক্রিয়াটি সংক্ষেপে বলবেন কি?
ফ্রিল্যান্সিংয়ের পুরো প্রক্রিয়াটিকে ৪টি ধাপে ভাগ করা যেতে পারে।
১ম ধাপঃ যেকোন ভাবে ( মার্কেটপ্লেস, সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল মার্কেটিং, এসইও ইত্যাদি) ক্লায়েন্ট যোগাড় করা, যারা কাজ করাতে চাচ্ছেন।
২য় ধাপঃ ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজ বুঝে নেওয়া এবং পেমেন্ট হার নির্ধারণ করা।
৩য় ধাপঃ কাজটি সঠিকভাবে, ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ি সম্পন্ন করা।
৪র্থ ধাপঃ ক্লায়েন্টকে কাজ বুঝিয়ে দেওয়া এবং পেমেন্ট নেওয়া।

বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ফ্রিল্যান্সিং-এর অবস্থান এখন কোথায়?
ভাল এবং খারাপ দুটি বলব।
ভাল বলার কারণঃ বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে ফ্রিল্যান্সার হওয়ার আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। অনেকে ভাল আয়ও করছে এখানে।
খারাপ বলার কারণঃ আগ্রহ বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে মানুষের মাঝে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজটিকে খুব সহজ এবং যোগ্যতা ছাড়া কাজ মনে করা হচ্ছে। সেজন্য যোগ্যতা অর্জনের জন্য সময় এবং অর্থ ব্যয় করা ছাড়াই সবাই আয় করার স্বপ্ন দেখছে। আবার অনেকেই অল্প যোগ্যতা সম্পন্ন কাজকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য বেছে নিচ্ছে। আবার যারা কাজ করছেন, তাদের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ব্যাপকতা সম্পর্কে ভাল জ্ঞানের অভাব। শুধুমাত্র নির্ধারিত কয়েকটি মার্কেটপ্লেসে কাজ করাকেই তারা ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ মনে করছে।

বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং আরও পরিচিত এবং জনপ্রিয় করার জন্য কী ধরণের প্রদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে?
ফ্রিল্যান্সিংয়ের মূল ধারণা সম্পর্কে সবাইকে পরিস্কার ধারণা দিতে হবে। মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রবেশের আগে স্কীল লোক তৈরি করতে হবে। প্রক্রিয়াগুলো ইতিমধ্যে চলছে। তবে এ প্রক্রিয়াগুলোর সাথে যারা জড়িত, অর্থাৎ যারা স্কীল লোক তৈরি করছেন, তাদের কার্যক্রমগুলো মনিটরিং করা জরুরি।

একজন ফ্রিল্যান্সারের সাফল্যের মূল কারণ কী?
কয়েকটি বিষয়ে নজর দিলে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে সফল হওয়া সম্ভব-

  • নিজেকে প্রতিনিয়ত স্কীলড হিসেবে তৈরি করা।
  • যেকোন কাজের প্রতি আন্তরিকতা
  • সময়ানুবর্তী হওয়া
  • বায়ারের সাথে ভাল সম্পর্ক রাখা
  • কমিউনিকেশন স্কীল বৃদ্ধি করা
  • নিজের মধ্যে প্রফেশনালিজম তৈরি করা।

আপনি এখন কী ধরণের কাজ করছেন?
অনলাইন মার্কেটিং এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করে থাকি। এবং দেশব্যাপী ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য স্কীলড ব্যক্তি তৈরি করার কাজে সময় দিচ্ছি। আর এজন্য ক্রিয়েটিভ আইটি লিঃ কে ব্যনার হিসেবে ব্যবহার করছি।

আপনার ডিজাইন এন্ড ডেভেলপ করা প্রথম ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে চাই?
আমার করা প্রথম ওয়েবসাইটটি ছিল বাংলাদেশের একটি বড় গার্মেন্টস কোম্পানীর। কোম্পানীর নাম হচ্ছেঃ গিভেন্সীগ্রুপ।

আপনার অভিজ্ঞতায়- বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে একজন ওয়েব ডেভেলপার আউসোর্সিং করে কী পরিমাণ আয় করতে পারেন প্রতি মাসে?
একজন ওয়েবডেভেলপার মাসে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ৩০,০০০ – ৫০,০০০ টাকা আয় করতে পারে। তবে প্রচুর কাজ পাওয়ার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েব ডেভেলপ করা জানা থাকলে কাজ পেতে সহজ হয়ে যায়।

বাংলাদেশী একজন ফ্রিল্যান্সারের বড় বাধাগুলো কি কি বলে আপনার মনে হয়?
ইন্টারনেট স্পীড, এর খরচ এবং বিদ্যুৎ সমস্যা। এ তিন সমস্যাকেই আপাতত সবচাইতে বড় বাধা মনে হচ্ছে।

ফ্রিল্যান্সিং-এ উপার্জিত অর্থ দেশে আনার সবচেয়ে সহজতম উপায় কোনটিকে মনে করেন?
ওডেস্ক থেকে ডলার উত্তোলন করতে হলে সরাসরি ব্যাংকে উত্তোলন করাই ভালো।

একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার আপনার কাছে মেইল দিলে সেটাকে আপনি কীভাবে গ্রহণ করেন?
আমাকে সাধারণত মেইলে না, ফেসবুকের ইনবক্সে মেসেজ দিয়ে পরামর্শ চায়। প্রায় সবার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করি। প্রতিদিনিই এরকম ৭০-৮০ জনের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকি।

ফ্রিল্যান্সিং-এ যারা নতুন আসতে চায় তাদের ব্যাপারে আপনার চিন্তা-চেতনা কিছু আছে কি? এ ব্যাপারে জানতে চাই-?
যারা নতুন আসতে চায়, তাদেরকে ক্রিয়েটিভ আইটি ইন্সটিটিউটের ব্যানারে প্রশিক্ষন দিচ্ছি। গত দুই বছরে এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় ৬০০ এর উপরে সফল ফ্রিল্যান্সার তৈরি করেছি। বর্তমানে সরকারের একটি প্রজেক্টের ব্যানারে সারাদেশে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার জন্য ১৮ ঘন্টার বিশেষ প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। যা সম্পূর্ণ ফ্রি শিখানো হচ্ছে।

আউটসোর্সিং কাজ করার জন্য কি কম্পিউটার বিজ্ঞান ব্যাকগ্রাউন্ড আবশ্যক? কেন?
না আবশ্যক না। আমি নিজেই ইকোনোমিকসের স্টুডেন্ট। আর এ সেক্টরে ইতিমধ্যে যারা সফল তাদের ৯৯% এরই কম্পিউটার বিজ্ঞানের কোন ব্যকগ্রাউন্ড নাই।

আপনার দৃষ্টিতে কি কি শিখলে একজন নিজেকে ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে পরিচয় দিতে পারেন?

  • HTML
  • CSS
  • jQuery
  • MySQL
  • PHP &
  • WordPress

ব্যক্তিগত দিকে এবার একটু যাওয়া যাক- ২৪ ঘণ্টা সময় কি রুটিন মেনে চলেন?
এদিক থেকে আমি একটু দুর্বল। রুটিন মেনে চলতে পারিনা।

ঘুম থেকে উঠেই কার মুখ দেখতে ইচ্ছে করে?
অবশ্যই আমার বউয়ের মুখটা।

পরিবারকে কিভাবে সময় দেন? নাকি তেমনভাবে সময় দিতে পারেন না?
আমি শত ব্যস্ততার মধ্যেও পরিবারের সকল কাজগুলো নিজের হাতেই করি। পারিবারিক সকল প্রোগ্রামগুলোতেও সক্রিয়ভাবেই অংশগ্রহন করার চেষ্টা করি। আসলে বিষয়টি মেইনটেইন করতে করতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে।

শখের বিষয় কী আপনার?
মিউজিক শোনা। আমি প্রচুর গান শুনি। কাজের সময় ফুল ভলিউমে গান চালিয়ে হেডফোন দিয়ে গান না শুনলে কাজ করে শান্তি পাইনা।

আপনি কি নিজেকে আড্ডাবাজ মনে করেন?
আমি একদমই আড্ডা দেইনা। আমি খুব বেশি সময় হিসেব করে চলি। সেজন্য আড্ডা দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হয়না।

কাজের ফাঁকে আপনি কী করেন?
অনেক বেশি আর্টিকেল পড়ি। ফেসবুকে সময় দেই বেশি। আড্ডা দেওয়ার জন্য না। মানুষকে ফ্রিল্যান্সিং কিংবা এসইও বিষয়ক সাহায্য করার চেষ্টা করি। এভাবেই সময় কেটে যায়।

একজন মো. ইকরামের ভালো দিক বা বৈশিষ্টগুলো কি?
খুব বেশি মানুষের উপকার করি, নিজের সর্বস্ব দিয়ে উপকার করার চেষ্টা করি। অন্যদের চাইতে একটু বেশি এনার্জিটিক হওয়ার কারনে প্রচুর খাটতে পারি। অনেক বেশি কাজ পাগল মানুষ। টাকার নেশা কখনও নাই, যেকোন চ্যালেঞ্জে জেতার নেশাটাই বেশি। আর এই নেশাটার কারনেই মনে হয়, আজ এতদুর আসতে পেরেছি।

আর মন্দ দিক?
মন্দ দিকের মধ্যে বলতে গেলে বলব, একটু রাগী। রাগটাকে আরও কমানো উচিত।

আপনার ক্রিয়েটিভ আইটি’র কাজ কেমন এগুচ্ছে?
আল্লাহর রহমতে ভাল। গতবছরের (২০১৩ সাল) ডিসেম্বর মাস থেকে এ বছরের এখন পযন্ত পরিস্থিতি অনেক ভাল। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের যত উদ্যোগ আছে, সেগুলো সফল করার জন্য এখন সবচাইতে আস্থাশীল প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ক্রিয়েটিভ আইটি। সেজন্য নিয়মিত কোর্সগুলোর পাশাপাশি সরকারে এসব প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ব্যস্ততা বেড়ে গেছে অনেক গুন। ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি আইটি সম্পর্কিত আরো অনেক প্রজেক্ট নিয়ে খুব দ্রুত সবার সামনে আসব। সবাইকে পাশে থাকার জন্য অনুরোধ করছি।

ক্রিয়েটিভ আইটি’র লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য কতটা মিলছে বাস্তবে?
ক্রিয়েটিভ আইটিতে ব্যবসায়িক চিন্তার চাইতে মানুষকে কিছু শিখানোর এবং ক্যারিয়ার তৈরিতে সবধরনের সহযোগিতা দেওয়ার চিন্তাটাই বেশি থাকে। এটাই ক্রিয়েটিভ আইটির ট্রেনিংয়ের প্রধান উদ্দেশ্য। আল্লাহর রহমতে আমরা এ ক্ষেত্রে সফলও হচ্ছি। প্রতি মাসে আমরা প্রায় ২০-৩০ জন বেকারকে (যারা ক্রিয়েটিভ আইটি হতে কোর্স করেছেন) চাকুরীর ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। এখান থেকে কোর্স করে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়েছে সেই সংখ্যাও গত ১ বছরে প্রায় ১৫০ এর উপর।

আবারও ফিরে আসছি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে- প্রফেশন হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং-এর অবস্থান বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কেমন বলে আপনি মনে করেন?
বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ফ্রিল্যান্সিং একটি আশির্বাদ। এরকম উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বেকার সমস্যা অনেক বেশি। দেশগুলো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও কম। ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ করার সুযোগ থাকার কারনে সারা বিশ্বের সকল জবগুলো এখন সবার জন্য উন্মুক্ত। সেই সব কাজ করার মত করে নিজেদের যোগ্যতা তৈরি করে এসব জবগুলো করার সুযোগ নিতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং নি:সন্দেহে একটি মহান পেশা উন্নত দেশগুলোতে। কিন্তু বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং পরিচয়টা তেমন একটা নয়। বরং উপেক্ষিত। কেন এমন ধারণা, আপনার কী মনে হয়?
বাংলাদেশে আইটির সুফলগুলো ভোগ করা শুরু হয়েছে অল্প কিছুদিন ধরে। সুতরাং তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে ঘরে বসেই যে অন্যদেশের কোন কোম্পানীতে চাকুরি করা সম্ভব, বিষয়টি অনেকের কাছেই এখনও অবিশ্বাস্য। সেজন্যই এখনও ফ্রিল্যান্সিং পেশাটি এখনও উপেক্ষিত।

উত্তরণের কোনো পথ আপনি ভাবছেন কি?
ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে প্রচুর সচেতনতা তৈরি করতে হবে। সবাইকেই এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া, পত্রিকাতে লেখালেখি করার মাধ্যমে, প্রচুর সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে এ সচেতনতা তৈরি করা সম্ভব। ইতোমধ্যে এগুলো হচ্ছেও প্রচুর। সেজন্য শহরকেন্দ্রিক এ বিষয়ে সবার মধ্যে ধারণার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আরও পরিবর্তন হবে খুব শিগগিরই। কারণ এ ব্যাপারে সরকার থেকেও ব্যাপক চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে আপনার কোনো পরিকল্পনা আছে কি?
আমি গত ৪ বছর ধরে ফ্রিল্যান্সার তৈরি এবং নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সঠিক গাইডলাইন দেওয়ার জন্য অনেক লেখালেখি করছি ব্লগ সহ বিভিন্ন পত্রিকাগুলোতে। তাছাড়া পুরো বাংলাদেশের প্রচুর জায়গাতে এ ব্যাপারে বিভিন্ন সেমিনার এবং ওয়ার্কশপের মাধ্যমেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমার হাত দিয়ে প্রায় ২০০ এর উপর ফ্রিল্যান্সার তৈরি হয়েছে। সামনে আরও বড় কিছুর পরিকল্পনা চলছে। এখনই সেগুলো জানাতে চাচ্ছিনা।

আপনাকে অনেক বিরক্ত করলাম। ধন্যবাদ দ্য অনলাইন ইন্টারভিউ’র পক্ষ থেকে। ভালো থাকুন সবসময়, প্রতিক্ষণ।
আপনাকেও ধন্যবাদ। আমার এ ইন্টারভিউটি পড়ে যদি কিছু মানুষ নতুন কোন গাইডলাইন পেয়ে থাকে, তাহলে সেটি হবে এ ইন্টারভিউয়ের সার্থকতা।

ফেসবুক-এ লগিন থাকা অবস্থায় মন্তব্য করুন-

টি মন্তব্য

Facebook

Get the Facebook Likebox Slider Pro for WordPress